Skip to main content

এপ্রিল ফুল

০১/০৪/২০১৬ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম দুপুর ২টো ৪৫, প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে বাইপাশের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। কোনোদিন তো এত অপেক্ষা করতে হয়নি। তবে আজ কী কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হল নাকি! -ভেবে আমি প্যান্টের ডান পকেটে হাত ঢুকালাম। —"একী মোবাইলটা পকেটে নেই! গেল কোথায়?" হম্বি-তম্বি করে সবকটা পকেটই দেখলাম, ফোনটা হারিয়েছে। ইতিমধ্যে বাইকের ডিকি থেকে একটা গোঁ-গোঁ শব্দ পেলাম। খুলে দেখি মোবাইলটা ডিকিতেই। —"Ohhhhhh…… Thank God! আজ মোবাইলটা ধোকা দিয়ে দিচ্ছিল একদম।" ওখানে পর্নার পাঠানো একটা SMS দেখলাম। —"please never try to meet with me from today. Our relationship has been destroyed. I hate U & Never try to call me. good bye forever ~ Parna" ব্যাপারটা বুঝলাম না। পর্নাকে একটা ফোন করলাম। তখন বিশ্বাস হল, যখন ও রিসিভ করে বলল - "U chitter" ব্যাস এইটুকুই। তার পর সুইচড অফ। ০২/০৪/১৬ —“কাকিমা সুনীল কোথায়? কাল রাত থেকে কতবার ফোন করলাম রিসিভই করল না।” ইতিমধ্যে দেখলাম ওদের অনেক লোকজন। ওর মা কান্নায় ভেঙে পড়ল। বলল, —“সে আর নেই!" আমি ঘরে গিয়ে দেখলাম ওর সুগঠিত দেহটা বিছানায় এলিয়ে আছে। মুখে একটা নিরীহ হাসি। আর বিছানার সামনেই মোবাইলটা ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। বুঝলাম আমার ওই SMS-টা ও পায়ই নি।“sorry! kmn April fool banalam bolo?”

© Surojit Ghosh
mrsurojitghosh.blogspot.com
Find Me on Facebook

Comments

Popular posts from this blog

আমরা গরিব তাই

|| আমরা গরীব তাই || আমরা গরীব তাই মেনে নিতে হয়,। কাজ করে খেতে হবে ― মেধা পড়ে রয়; জীবন অভাবে ভরা, কিছু আয় চাই, কলেজে তাই আর পড়া হয় নাই। সকালেতে মাঠে যাই, বিকেলেতে দুঃখ, আগামীকাল ভাবার পরে চেহারাটা রুক্ষ। বুক ভরা স্বপ্ন, সফলতা পাব ঠিক! ― এই আশাতে বাঁচি, রুপকথার নিরিখ। বুকে বল মুখে হাসি, ভেতরটা পুড়ে ছাই, কিছুই করার নেই, আমরা গরীব তাই।। © সুরোজিৎ অবসাদে অবসর কাটানোর থেকে, কবিতা লেখাই ভালো।

প্রেমিকেরা অপেক্ষায় থাকে

প্রেমিকেরা অপেক্ষায় থাকে, বাগানবাড়ির সামনে তোমায় প্রথম দেখেছি, প্রেমে পড়েছি আরও অনেক পরে; তোমার রুপের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছি আমি, যেমন গাছেরা মাটিকে আঁকড়ে ধরে। ঠিক কত বছর পার হয়ে যায়— খেয়াল থাকে না, অপেক্ষা থাকে! বাগান বাড়ির রাস্তা একা থেকে যায়; প্রেমিক খুঁজতে থাকে নতুন বৈশাখ। প্রশান্ত যেটুকু সময় ছিল— গোধুলী-বেলার লালচে আকাশ জুড়ে, কালবৈশাখী ঝড়ে এলোমেলো হতে থাকে, প্রেমিক এখনও অপেক্ষায় গঙ্গা নদীর তীরে।

প্রেম-পর্দা

প্রেম- পর্দা সুরোজিৎ ঘোষ প্রথম  পরিচ্ছেদ   উন্মুক্ত আকাশের ষোলোআনাই কালো মেঘে ঢাকা পরে গেছে। সূর্যালোকের চিহ্নমাত্র নেই। এ যেন মধ্যাহ্নের পরিবর্তে অনাবশ্যক এক সন্ধ্যার আগমন। সুজাতা শয়ন কক্ষে শায়িতা । ওর সতেজ মন আংশিকভাবে বিলিন হয়ে গেছে পাড়ার ছেলে সুনীলের সন্ধানে। ওর মনকক্ষেও অপ্রাকৃতিক ঝোড়ো হাওয়ার ডামাডোল চলছে। শিহরিয়া হয়ে মাঝেমাঝে ও নরম কোলবালিশটাকে জড়িয়ে ধরছে। আজ ও সুনীলের বক্ষে মিলিয়ে যেতে চায় নির্দ্ধিধায়। সমস্ত গন্ডি পার করে মনের সংকীর্ণতাকে পাত্তা না দিয়ে খোলা মাঠে ভিজতে চায়, ভেজা সবুজাভ ঘাসে পা ফেলে সুনীলের স্পর্শ অনুভব করতে চায়, সমস্ত কিছু উজাড় করে আত্মনিয়োগ করতে চায় অযৌক্তিক এক সংযমে। কালো আকাশের নীচে-সবুজ ঘাসের ফাঁকে-নীল নদীর তীরে সুজাতা শুধু সুনীলকেই চায়। এই জীবনে-এই রুপে-এই যৌবনে শুধু সুনীলেরই অধিকার। যেন আজ বাতাসে বাতাসে প্রেমের বিষাক্ত কোনো ভাইরাস মিশে গেছে, যেটার প্রভাবে হয়তো সুজাতার যৌন উদ্দীপনা মাত্রা ছাড়িয়েছে!      আসলে আজকের আবহাওয়াটাই এমন। সকাল থেকে বেশ কয়েকবার ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হয়ে গেল। আর বর্ষার আবহাওয়া মানেই রোমান্সের চরম সময়। য...