প্রেম সুরোজিৎ ঘোষ সেই বহুদিন আগে থেকে প্রেমে পড়েছি, প্রথমে নীললোহিতের নীরা, তারপর রবীন্দ্র সঙ্গীত আর পাহাড়ের কুয়াশা মাখা আঁকাবাঁকা পথ। ধীরে ধীরে আরও প্রেমে পড়েছি, নদীর ধারে মস্ত বটের পিছনে পড়ন্ত সূর্য, আর বৈশাখের ঝড়-বৃষ্টি। যখন বয়স কিছুটা বাড়ল, আবার প্রেমে পড়লাম; সেদিন পথভ্রান্ত জন্মান্ধকে রাস্তা পার করে দেওয়া মেয়েটার, আবার কারো সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ট্রেনের সিট ছেড়ে দেওয়াটাও থেমে থাকেনি। তেমনই থেমে থাকেনি আমার বারেবারে প্রেমে পড়ার অভ্যাসটা! বাড়িতে মা না থাকলে, আমার খেয়াল রাখা পাশের বাড়ির বৌদির প্রেমে পড়েছি, ভাষা সাহিত্যের বিশ্লেষণ করতে গিয়ে প্রিয় ছাত্রী ‘মিষ্টির’ প্রেমে পড়েছি। নারকেল গাছে বসে থাকা মাছরাঙা পাখির দিকে তাকিয়ে থেকেছি মুগ্ধতায়, দুপুরের পাতে সর্ষে-ইলিশের প্রেমে পড়েছি, আর বিরহে, প্রেমে পড়েছি রঙিন গ্লাসের। শীতের কাঁপুনিতে সিগারেটকে আপন করেছি, সে অভ্যেসে এখনো স্বচ্ছ প্রেমের প্রকাশ! যেন আমার ঠোঁটের স্পর্শ পাওয়ার জন্যেই সে তৈরি, অথচ যখন সত্যিকারের নীরা প্রশ্ন করে, ‘প্রেম আসলে কী?’ আমি উত্তর দিত...
অনেকে বাগান সাজায়, সৌন্দর্যে তুলে ধরে নিজেকে। প্রকৃতির সান্নিধ্যে যে সুখ পাওয়া যায় তার কোনো বিকল্প হয় না। নিজের সৃজনশীল মানসিকতায় অন্যদেরও সৃজনশীলে রূপান্তর করে। পৃথিবীর সকলেই সৃজনশীল, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেই চিত্র ধরা পড়ে। এর উপমা দেওয়ার হয়তো আর প্রয়োজন হবে না। আমিও আমার সামান্যতম প্রতিভাহীন কয়েকটি সৃজনশীলতার গাছের বাগান তৈরি করলাম, কেউ এই বাগানে ভুল করে ঢুকে পড়লেও তাকে স্বাগত।