প্লটটা অনেকক্ষণ ধরে মাথায় ঘুরছিল। লিখে ফেলা উচিৎ মনে করে রাতের খাওয়া শেষ করে বসলাম লিখতে। অদ্ভুত ভাবে যেটা ভেবেছিলাম সেটা সম্পুর্ন ভুলে যেতে বাধ্য হলাম। মনে পড়লেও মনে রাখা যাবে না! রাত ১টা ২০, চারিদিক নিস্তব্ধতার চাদরে ঢাকা। কিছুক্ষন আগেই এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে, তাই আবহাওয়াও বেশ শীতল। নিজের ভাবনা পেনের ডগায় যেই ছুঁইয়েছি, ওমনি জানলাটা নিজের থেকেই খুলে গেল। ভাবলাম হাওয়ায় খুলে গেছে নিশ্চই! বাইরে থেকে ফুরফুর করে মোহময় হাওয়া আসছিল, জানলা বন্ধ করার প্রয়োজনবোধ করিনি। মিনিট ১৫ পরে জানালায় লক্ষ করে দেখি কে যেন একদদৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে আছে! নিজেকে সামলে নিয়ে, এক গ্লাস জল খেলাম। তারপর ওদিকে চেয়ে দেখি কেউ নেই। মনে মনে ভাবলাম যা ভাবছি তাই দেখছি। হ্যালুজিনেশন বই আর তো কিছুই নয়। দেখাটাও স্বাভাবিক। আরও কিছুটা লিখে ঘুম ঘুম পাচ্ছিল তাই শুয়ে পড়লাম। হঠাৎ ঘরে একটা বাজে পচা গন্ধে ভরে উঠল, সে গন্ধের তীব্রতা এতই যে নিশ্বাস নেওয়া কঠিন। ইতিমধ্যে বাবা'ও আমার ঘরে ঢুকে জিজ্ঞেস করল এই বিদঘুটে গন্ধের ব্যাপারে। আমি কিছুই না জানার ভান করে বাবার কাছে ঘুমোনোর আবেদন জানালাম। তারপ...
অনেকে বাগান সাজায়, সৌন্দর্যে তুলে ধরে নিজেকে। প্রকৃতির সান্নিধ্যে যে সুখ পাওয়া যায় তার কোনো বিকল্প হয় না। নিজের সৃজনশীল মানসিকতায় অন্যদেরও সৃজনশীলে রূপান্তর করে। পৃথিবীর সকলেই সৃজনশীল, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেই চিত্র ধরা পড়ে। এর উপমা দেওয়ার হয়তো আর প্রয়োজন হবে না। আমিও আমার সামান্যতম প্রতিভাহীন কয়েকটি সৃজনশীলতার গাছের বাগান তৈরি করলাম, কেউ এই বাগানে ভুল করে ঢুকে পড়লেও তাকে স্বাগত।