Skip to main content

একটি স্নিগ্ধ দুপুর



মাঘের দুপুর, সকালের রোদের থেকেও বেশি মিষ্টি দুপুরের পড়ন্ত রোদ। কাজেই মধ্যাহ্নভোজন আত্মসাৎ করে বেরিয়ে পড়লাম রোদ্দুরে গা'ভেজাতে। কয়েকটুকরো রৌদ্রসেবন করে একাকীত্ব বোধ হতে থাকল, কবিতা লেখার মত কঠিন কাজে আর মন বসে না। সুতরাং কঠিন যা কিছু তার থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে সহজের দিকে পা বাড়ালাম। যেমন কুয়াশা-নীলাভ আকাশের নীচে সমতল গঙ্গা, ঝিরি ঝিরি বাতাসের শীতলতা, গাছের পাতাদের সড়সড় শব্দ, ছায়ার অভিমুখী কল্পনা, দিগন্তের আবছা চিত্রপট আরো কতকিছু। রৌদ্রে চিকচিক করা জলরাশি দেখে কিছুক্ষণ আগের স্নানাগারে ঘটে যাওয়া অদ্ভুত গানের কথা মনে পড়ে যায়, গায়ে জল ঢালার আগের মুহূর্তের কথা মনে পড়লে আর তাকানো যায় না সেই দিকে! দূরের গাছপালারা যেন কুয়াশা মেখেছে আর নিশ্চই বাতাসে মিশেছে নেশার কোনোএক উপকরণ!
    বাড়ি ফেরার পথে হটাৎ আনমনা হয়ে পড়ি, দুপুরের ভাতঘুম অপেক্ষা প্রকৃতি দর্শনে আজ যে আকর্ষণ অনুভূত হল, সেই স্মৃতি নিয়ে বেশ কয়েকটা দিন কাটিয়ে দেওয়া অনেক বেশি সহজ।

Comments

Popular posts from this blog

আমরা গরিব তাই

|| আমরা গরীব তাই || আমরা গরীব তাই মেনে নিতে হয়,। কাজ করে খেতে হবে ― মেধা পড়ে রয়; জীবন অভাবে ভরা, কিছু আয় চাই, কলেজে তাই আর পড়া হয় নাই। সকালেতে মাঠে যাই, বিকেলেতে দুঃখ, আগামীকাল ভাবার পরে চেহারাটা রুক্ষ। বুক ভরা স্বপ্ন, সফলতা পাব ঠিক! ― এই আশাতে বাঁচি, রুপকথার নিরিখ। বুকে বল মুখে হাসি, ভেতরটা পুড়ে ছাই, কিছুই করার নেই, আমরা গরীব তাই।। © সুরোজিৎ অবসাদে অবসর কাটানোর থেকে, কবিতা লেখাই ভালো।

প্রেমিকেরা অপেক্ষায় থাকে

প্রেমিকেরা অপেক্ষায় থাকে, বাগানবাড়ির সামনে তোমায় প্রথম দেখেছি, প্রেমে পড়েছি আরও অনেক পরে; তোমার রুপের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছি আমি, যেমন গাছেরা মাটিকে আঁকড়ে ধরে। ঠিক কত বছর পার হয়ে যায়— খেয়াল থাকে না, অপেক্ষা থাকে! বাগান বাড়ির রাস্তা একা থেকে যায়; প্রেমিক খুঁজতে থাকে নতুন বৈশাখ। প্রশান্ত যেটুকু সময় ছিল— গোধুলী-বেলার লালচে আকাশ জুড়ে, কালবৈশাখী ঝড়ে এলোমেলো হতে থাকে, প্রেমিক এখনও অপেক্ষায় গঙ্গা নদীর তীরে।

প্রেম-পর্দা

প্রেম- পর্দা সুরোজিৎ ঘোষ প্রথম  পরিচ্ছেদ   উন্মুক্ত আকাশের ষোলোআনাই কালো মেঘে ঢাকা পরে গেছে। সূর্যালোকের চিহ্নমাত্র নেই। এ যেন মধ্যাহ্নের পরিবর্তে অনাবশ্যক এক সন্ধ্যার আগমন। সুজাতা শয়ন কক্ষে শায়িতা । ওর সতেজ মন আংশিকভাবে বিলিন হয়ে গেছে পাড়ার ছেলে সুনীলের সন্ধানে। ওর মনকক্ষেও অপ্রাকৃতিক ঝোড়ো হাওয়ার ডামাডোল চলছে। শিহরিয়া হয়ে মাঝেমাঝে ও নরম কোলবালিশটাকে জড়িয়ে ধরছে। আজ ও সুনীলের বক্ষে মিলিয়ে যেতে চায় নির্দ্ধিধায়। সমস্ত গন্ডি পার করে মনের সংকীর্ণতাকে পাত্তা না দিয়ে খোলা মাঠে ভিজতে চায়, ভেজা সবুজাভ ঘাসে পা ফেলে সুনীলের স্পর্শ অনুভব করতে চায়, সমস্ত কিছু উজাড় করে আত্মনিয়োগ করতে চায় অযৌক্তিক এক সংযমে। কালো আকাশের নীচে-সবুজ ঘাসের ফাঁকে-নীল নদীর তীরে সুজাতা শুধু সুনীলকেই চায়। এই জীবনে-এই রুপে-এই যৌবনে শুধু সুনীলেরই অধিকার। যেন আজ বাতাসে বাতাসে প্রেমের বিষাক্ত কোনো ভাইরাস মিশে গেছে, যেটার প্রভাবে হয়তো সুজাতার যৌন উদ্দীপনা মাত্রা ছাড়িয়েছে!      আসলে আজকের আবহাওয়াটাই এমন। সকাল থেকে বেশ কয়েকবার ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হয়ে গেল। আর বর্ষার আবহাওয়া মানেই রোমান্সের চরম সময়। য...