Skip to main content

Posts

বদলে যাওয়া সময় আর স্মৃতি

সময় চলে যায় - বদলে যায় অবস্থা, বেঁচে থাকার কারনগুলো বদলে যায় হঠাৎ! অন্যকে দেওয়া কথাগুলোও বদলে যায় নিজে থেকে, ঘড়ির কাঁটা যেমন টিক-টিক করে ছোটে! বদলায় মনের অবস্থা, তার সাথে সাথে দিন, সপ্তাহ-মাস-বছর শেষে, একটু মিলিয়ে নিন; প্রেম ছিল নাকি ভালোলাগা শুধু; হিসেব মিলবে না! বন্ধুত্ব? সেতো আরো বেশি দামী, সবার কি আর জোটে! সময় আরও এগিয়ে যাবে, স্মৃতি তো নিশ্চিত থাকবে! বয়স হয়তো কিছুটা বেড়েছে, কয়েকটা চুল পাকবে। ব্যর্থতা নাকি সফলতা'র জন্যে, ভাবনা মিলবে না! বিশ্বাস! সেতো ভুল করে করা, ওই গোলাপী ঠোঁটে!

উদ্দালক

তোমার প্রেরণায় প্রতিভাত আমি সুষ্ঠ ভাবে ছন্দিত আজ; তোমার করণ-কৌশল অনুকরন করে সৃজিত হল গতিহীন কাজ। নিষ্কম্প দৃষ্টি তোমার স্বভাবানুগত উপমাহীন; মোর চিত্তের অনুগত প্রেম উৎকৃষ্ট তাই হয়েছে দীন! রকমারি প্রেম দেখা হলো শেষ, রাশিকৃত ক্রোধ ব্যপ্ত মনে; আয়ত্বাতীত তত্ত্ব বিচার সারা হলো আজ মনের কোনে!

প্রেমিকেরা অপেক্ষায় থাকে

প্রেমিকেরা অপেক্ষায় থাকে, বাগানবাড়ির সামনে তোমায় প্রথম দেখেছি, প্রেমে পড়েছি আরও অনেক পরে; তোমার রুপের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছি আমি, যেমন গাছেরা মাটিকে আঁকড়ে ধরে। ঠিক কত বছর পার হয়ে যায়— খেয়াল থাকে না, অপেক্ষা থাকে! বাগান বাড়ির রাস্তা একা থেকে যায়; প্রেমিক খুঁজতে থাকে নতুন বৈশাখ। প্রশান্ত যেটুকু সময় ছিল— গোধুলী-বেলার লালচে আকাশ জুড়ে, কালবৈশাখী ঝড়ে এলোমেলো হতে থাকে, প্রেমিক এখনও অপেক্ষায় গঙ্গা নদীর তীরে।

ইচ্ছেরা বেঁচে থাকে

ইচ্ছেরা বেঁচে থাকে, হয়তো পরিপূর্ণতা পায় না, কিন্তু থাকে; গাছের শাখাপ্রশাখায় হলদে পাতাগুলোর মত। ইচ্ছেরা ডানা হীন তবু উড়তে পারে আকাশে — নীল দিগন্ত ছাড়িয়ে উড়ে যেতে পারে অনেক উঁচুতে। ইচ্ছেরা জলের মত স্বচ্ছ, বর্নহীন-গন্ধহীন-আকার বিহীন, কিন্তু জলের মত সহজ নয়, লোহার থেকেও কঠিন! ইচ্ছেরা বেঁচে থাকে, হৃদয়ের গহবরে, রক্তকোষের কণায়, মস্তিষ্কের প্রত্যেকটি নিউরনে, বেঁচে থাকার জন্যে ইচ্ছেরা বাঁচে না, ইচ্ছেরা বেঁচে থাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।

শ্রেষ্ঠ নারী

মা তুমি, রক্ষা করেছো মোরে, শাড়ির উষ্ণ আঁচল দিয়েছো শীতের ভোরে। জানতো, দিনের আকাশে সূর্য তুমি, রাতের আকাশে চাঁদ, তোমার প্রেমের মানিক আমি, বোজাবো দুখের খাদ। যখন, বয়স গিয়ে ঠেকল ষাটে, পঁচিশে আমি দিলাম পা, সাফল্য তখন পেয়ে গেছি, কি'গো, তুমি খুশি তো ‘মা’! জানি, তোমার কোলে মানুষ হয়েছি, উচ্চ-মহলে পেয়েছি ঠাঁই; মা'গো তুমি শ্রেষ্ঠ নারী, এমন আপন আর কেউ নাই।

কাল্পনিক

জ্যোৎস্না রাতের মাঝ আকাশ যখন একা, একদল তারা দপদপ করে জ্বলতে জ্বলতে যখন ক্লান্ত, যখন নদীর দোদুল্যমান জলে চাঁদের আলো বিচ্ছুরিত হচ্ছে; ঠিক তখন পিছনে ফিরে দেখবে, অপরুপা এক নারী। সারা শরীরের স্নায়ু যখন অবশ হয়ে পড়বে, যখন তার প্রেম পাওয়ার লালসায় তুমি হিংস্র হয়ে উঠবে; বাতাস তখন উত্তপ্ত হয়ে শরীর থেকে ঘাম ঝড়াবে তোমার। তাকে স্পর্শ করে বুঝবে আসলে সবই কাল্পনিক!

প্রেম

প্রেম সুরোজিৎ ঘোষ সেই বহুদিন আগে থেকে প্রেমে পড়েছি, প্রথমে নীললোহিতের নীরা, তারপর রবীন্দ্র সঙ্গীত আর পাহাড়ের কুয়াশা মাখা আঁকাবাঁকা পথ। ধীরে ধীরে আরও প্রেমে পড়েছি, নদীর ধারে মস্ত বটের পিছনে পড়ন্ত সূর্য, আর বৈশাখের ঝড়-বৃষ্টি। যখন বয়স কিছুটা বাড়ল, আবার প্রেমে পড়লাম; সেদিন পথভ্রান্ত জন্মান্ধকে রাস্তা পার করে দেওয়া মেয়েটার, আবার কারো সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ট্রেনের সিট ছেড়ে দেওয়াটাও থেমে থাকেনি। তেমনই থেমে থাকেনি আমার বারেবারে প্রেমে পড়ার অভ্যাসটা! বাড়িতে মা না থাকলে, আমার খেয়াল রাখা পাশের বাড়ির বৌদির প্রেমে পড়েছি, ভাষা সাহিত্যের বিশ্লেষণ করতে গিয়ে প্রিয় ছাত্রী ‘মিষ্টির’ প্রেমে পড়েছি। নারকেল গাছে বসে থাকা মাছরাঙা পাখির দিকে তাকিয়ে থেকেছি মুগ্ধতায়, দুপুরের পাতে সর্ষে-ইলিশের প্রেমে পড়েছি, আর বিরহে, প্রেমে পড়েছি রঙিন গ্লাসের। শীতের কাঁপুনিতে সিগারেটকে আপন করেছি, সে অভ্যেসে এখনো স্বচ্ছ প্রেমের প্রকাশ! যেন আমার ঠোঁটের স্পর্শ পাওয়ার জন্যেই সে তৈরি, অথচ  যখন সত্যিকারের নীরা প্রশ্ন করে, ‘প্রেম আসলে কী?’ আমি উত্তর দিত...

ইচ্ছে মত ১

পথ চলতে চলতে, যদি ক্লান্তি চলে আসে; বুঝে নিও ওই পথও তোমায় ভালোবাসে। শহরের পিচ-কালো রাস্তায়, ছায়ায়  অভাব, ক্লান্তি কাটাতে পারবে না, এটা শহুরে স্বভাব। এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে তোমার পূরন ঠিকই হবে, অনেকটা তো এগিয়ে গেলে, বাঁচবে আবার কবে! নতুন করে বাঁচতে যদি চাও, আমায় আপন করে নাও; আর এভাবেই চলতে থাকুক, খুশির জীবন পাও... ☺ ©সুরোজিত

ইচ্ছেমত ২

ইচ্ছে তো অনেক কিছুই ছিল, হয়নি পূরন, প্রকাশ হয়নি কিছু, তোমার আমার একসাথে চলা, আজ দু'জনের পথ উঁচু নিচু! © সুরোজিৎ

ইচ্ছে হলে

ইচ্ছে হলেই আকাশ ছোঁয়া যায়, যেমন ভাবনাগুলোয় স্বপ্ন বেঁচে থাকে, বাস্তবতার গিরগিটিদের মাঝে, স্বপ্ন ভাঙার যন্ত্র কাছে থাকে। ইচ্ছে হলেই বাতাস হওয়া যায়, যেমন স্নিগ্ধ তোমার মাথার ভরা চুল, আমরা আজও অনেক কাছাকাছি, যেমন কাঁটার মাঝে ছোট্ট গোলাপ ফুল। ইচ্ছে হলেই ধ্বংস হওয়াও যায়, এই জগতে অদ্ভুত কিছু নেই, এপাড় ভেঙেও ওপাড় ভাঙা যায়, শেষ নিমেষে না হারালে খেই! ©  Surojit Ghosh

পন্থা

পন্থা সুরোজিত কেউ লোভী, কেউ তেলিয়ে চলে, অনেকে অনেক কথাও বলে; ভেতরে যার নেই কোনো পাপ, তাকেই চেনা দায়, হায়রে মানুষ হায়! কেউ জ্ঞানী, কেউ মহাজ্ঞানী, ওরা ডাকাত, ওরাই ধনী, হঠাৎ ঝাঁপিয়ে রুখতে পারলে বেশ, নতুন করে বাঁচব মোরা, নতুন হবে দেশ! বাঁচব আমি বাঁচবে তুমি, বাঁচবে আমার জন্মভূমি, সঠিক বিকল্প বেছে নিতে তুমি রাজি? অন্যায় হলে বিরোধিতা করো আজই।।

রিমঝিম সারাদিন

গ্রীষ্মের দাবদাহ হল শেষ, শুরু হল রিমিঝিম সারাদিন; শুয়ে-বসে থাকতে লাগেনা বেশ, সময় না কাটলে ছাতা নিন; ক্লাবের আড্ডায় চলে যান, এক কাপ চায়ে চুমুক দিন; চা শেষে সিগারেটে হোক টান, পড়ুক না রিমিঝিম সারাদিন! 

ভাবনা যখন বাস্তব

প্লটটা অনেকক্ষণ ধরে মাথায় ঘুরছিল। লিখে ফেলা উচিৎ মনে করে রাতের খাওয়া শেষ করে বসলাম লিখতে। অদ্ভুত ভাবে যেটা ভেবেছিলাম সেটা সম্পুর্ন ভুলে যেতে বাধ্য হলাম। মনে পড়লেও মনে রাখা যাবে না!    রাত ১টা ২০, চারিদিক নিস্তব্ধতার চাদরে ঢাকা। কিছুক্ষন আগেই এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে, তাই আবহাওয়াও বেশ শীতল। নিজের ভাবনা পেনের ডগায় যেই ছুঁইয়েছি, ওমনি জানলাটা নিজের থেকেই খুলে গেল। ভাবলাম হাওয়ায় খুলে গেছে নিশ্চই! বাইরে থেকে ফুরফুর করে মোহময় হাওয়া আসছিল, জানলা বন্ধ করার প্রয়োজনবোধ করিনি।    মিনিট ১৫ পরে জানালায় লক্ষ করে দেখি কে যেন একদদৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে আছে! নিজেকে সামলে নিয়ে, এক গ্লাস জল খেলাম। তারপর ওদিকে চেয়ে দেখি কেউ নেই। মনে মনে ভাবলাম যা ভাবছি তাই দেখছি। হ্যালুজিনেশন বই আর তো কিছুই নয়। দেখাটাও স্বাভাবিক।  আরও কিছুটা লিখে ঘুম ঘুম পাচ্ছিল তাই শুয়ে পড়লাম। হঠাৎ ঘরে একটা বাজে পচা গন্ধে ভরে উঠল, সে গন্ধের তীব্রতা এতই যে নিশ্বাস নেওয়া কঠিন। ইতিমধ্যে বাবা'ও আমার ঘরে ঢুকে জিজ্ঞেস করল এই বিদঘুটে গন্ধের ব্যাপারে। আমি কিছুই না জানার ভান করে বাবার কাছে ঘুমোনোর আবেদন জানালাম। তারপ...

প্রেম-পর্দা

প্রেম- পর্দা সুরোজিৎ ঘোষ প্রথম  পরিচ্ছেদ   উন্মুক্ত আকাশের ষোলোআনাই কালো মেঘে ঢাকা পরে গেছে। সূর্যালোকের চিহ্নমাত্র নেই। এ যেন মধ্যাহ্নের পরিবর্তে অনাবশ্যক এক সন্ধ্যার আগমন। সুজাতা শয়ন কক্ষে শায়িতা । ওর সতেজ মন আংশিকভাবে বিলিন হয়ে গেছে পাড়ার ছেলে সুনীলের সন্ধানে। ওর মনকক্ষেও অপ্রাকৃতিক ঝোড়ো হাওয়ার ডামাডোল চলছে। শিহরিয়া হয়ে মাঝেমাঝে ও নরম কোলবালিশটাকে জড়িয়ে ধরছে। আজ ও সুনীলের বক্ষে মিলিয়ে যেতে চায় নির্দ্ধিধায়। সমস্ত গন্ডি পার করে মনের সংকীর্ণতাকে পাত্তা না দিয়ে খোলা মাঠে ভিজতে চায়, ভেজা সবুজাভ ঘাসে পা ফেলে সুনীলের স্পর্শ অনুভব করতে চায়, সমস্ত কিছু উজাড় করে আত্মনিয়োগ করতে চায় অযৌক্তিক এক সংযমে। কালো আকাশের নীচে-সবুজ ঘাসের ফাঁকে-নীল নদীর তীরে সুজাতা শুধু সুনীলকেই চায়। এই জীবনে-এই রুপে-এই যৌবনে শুধু সুনীলেরই অধিকার। যেন আজ বাতাসে বাতাসে প্রেমের বিষাক্ত কোনো ভাইরাস মিশে গেছে, যেটার প্রভাবে হয়তো সুজাতার যৌন উদ্দীপনা মাত্রা ছাড়িয়েছে!      আসলে আজকের আবহাওয়াটাই এমন। সকাল থেকে বেশ কয়েকবার ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হয়ে গেল। আর বর্ষার আবহাওয়া মানেই রোমান্সের চরম সময়। য...

এপ্রিল ফুল

০১/০৪/২০১৬ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম দুপুর ২টো ৪৫, প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে বাইপাশের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। কোনোদিন তো এত অপেক্ষা করতে হয়নি। তবে আজ কী কোনো অসুবিধার সম্মুখীন হল নাকি! -ভেবে আমি প্যান্টের ডান পকেটে হাত ঢুকালাম। —"একী মোবাইলটা পকেটে নেই! গেল কোথায়?" হম্বি-তম্বি করে সবকটা পকেটই দেখলাম, ফোনটা হারিয়েছে। ইতিমধ্যে বাইকের ডিকি থেকে একটা গোঁ-গোঁ শব্দ পেলাম। খুলে দেখি মোবাইলটা ডিকিতেই। —"Ohhhhhh…… Thank God! আজ মোবাইলটা ধোকা দিয়ে দিচ্ছিল একদম।" ওখানে পর্নার পাঠানো একটা SMS দেখলাম। —"please never try to meet with me from today. Our relationship has been destroyed. I hate U & Never try to call me. good bye forever ~ Parna" ব্যাপারটা বুঝলাম না। পর্নাকে একটা ফোন করলাম। তখন বিশ্বাস হল, যখন ও রিসিভ করে বলল - "U chitter" ব্যাস এইটুকুই। তার পর সুইচড অফ। ০২/০৪/১৬ —“কাকিমা সুনীল কোথায়? কাল রাত থেকে কতবার ফোন করলাম রিসিভই করল না।” ইতিমধ্যে দেখলাম ওদের অনেক লোকজন। ওর মা কান্নায় ভেঙে পড়ল। বলল, —“সে আর নেই!" আমি ঘরে গিয়ে দেখলাম ওর সুগঠিত দেহটা বিছানায় এলিয়ে...

মুস্কান

ছো টোবেলা থেকে আর পড়াশোনা করা হয়ে ওঠেনি মুস্কান-এর। জন্ম দিয়ে বাবা পালিয়েছে। বাড়ী নেই, আপনজন বলতেও কেউ নেই। আছে কেবল তার নিজের জীবনটা। মুস্কানের কলকাতার রাস্তায় ভিক্ষা করে দিন কেটে যায়। আর যখন রাস্তার পাশ থেকে বড় বড় গাড়ি যায়, তখন ওর মনে মনে কাল্পনিক একটা ইচ্ছা জন্মায় গাড়ি চরবার। ৩১/০৩/১৬ হ্যাঁ আজ ওর ইচ্ছা পুর্ণ হল। মানে আজ মুস্কান একেবারে এ.সি গাড়ি চড়ল। ওই দুপুর ১২:৪০ নাগাদ। আর ওর গন্তব্যস্থল ছিল কোলকাতা মেডিকেল কলেজ। সব থেকে বড় কথা আজ মুখ্যমন্ত্রীরর সাথেও মুস্কানের দেখা হল। এসব কিছুই হত না যদি আজ বিবেকানন্দ সেতু না ভেঙে পড়ত।

সময়

|| সময় || বড় দুরূহ এ বাস্তব শিরোধার্য করিতে ডরি, শাসনভার যার উপর, কেমনে বিরোধীতা করি! তৃণসম ক্ষীণ আমি এদেশ দুর্বলতাময়, ঝলি ওঠে ন্যায়ের দন্ড এথায় শুধু অসৎ কার্য হয়। সত্য বলিলে বন্দি হব, তৃণসম ক্ষীণ আমি বিচারের স্রোতে রক্ত, চিত্ত আজিকে ভয়পূর্ন অত্যাচারের ভয়, শিক্ষিত তবে বিচারবুদ্ধিহীন, তৃণসম ক্ষীণ আমি ভুলেও আর সত্য কথা নয়। বিধাতাই একমাত্র পথ, আমি শিরদাঁড়াহীন আজ বিচারবুদ্ধিহীন নই, তৃণসম ক্ষীণ আমি সত্যিই কী আমি ক্ষীণ? আমি সাহসী-বীর ছেলে তৃণসম ক্ষীণ তুমি? কর্মোৎসাহী হও সব, তৃণসম ক্ষীণ আমি? পুনর্জাগরণ কই? চলো নিদ্রাভঙ্গ করি একীভূত হয়ে বলি, নইলে সত্যের পথে চলি।

রঙ বদলানো

জীবন বিষে বিষণ্ণ, মরনেও কোথা সুখ ভেজা-ভেজা চোখ। অরাজকতার বাতাবরণে সময় হয়তো আছে, সময়ের সাথে রঙ বদলায় কিংবা হয়তো নেই, নতুন মুখোশ কই। সবই সময়সাপেক্ষে স্রোতহীন নদীর হাঙর নাকি হাটু জলের ব্যাঙ! বদলে ফেলে রঙ।

বাদামওয়ালা

বাদামওয়ালা দ মদম থেকে সন্ধ্যে ৭টায় ট্রেনে ওঠা মানে সে এক প্রতিযোগীতায় উত্তীর্ণ হওয়ার সমান। তার উপর কয়েকজন মহান ব্যক্তি আছেন, যাদের মাহাত্ম্য দেখলে বড় রাগ লাগে। গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ট্রেন ছাড়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য। সে যাইহোক, বড় কষ্টের সহিত প্রতিযোগীতায় উত্তীর্ণ হয়ে কোনোক্রমে ট্রেনের উভয় শিটের মাঝ বরাবর এগিয়ে গেলাম জানলার দিকে। সেখানকার শিটে চারজন যেভাবে বসে আছে তার থেকে দাঁড়িয়ে জাওয়া অনেক বেশী আরামদায়ক! গমগমিয়ে ট্রেন ছুটছে, সঙ্গে জনারণ্যের কিচিরমিচির। সারাদিন অফিস করে বাড়ি ফেরাটা বড় বিস্বাদ লাগে! "বাদাম লাগবে… বাদাম" বেশ কর্কশ গলার আওয়াজটা কানে আসল। বেশ মোটাসোটা একজন টাক মাথার বৃদ্ধ। কিছুক্ষণ পরে আবার - "এই বাদাম হবে… ডালমুট হবে…" আমার পাশের একজন একটি ডালমুটের আবেদন করলেন। সাথে সাথে আরো দু'জন বাদামের আবেদন জানালেন। সেই বাদাম-ডালমুটের সাথে আবার লঙ্কা ফ্রী! বেশ লোভে পড়ে গেলাম। ইতিমধ্যে একটি বসার শিট পেয়ে সাময়িক লোভটাকে পাত্তা দিলাম না। ফোনের ডেটা কানেকশন অন করে হোয়াটস অ্যাপ খুলে বসে রইলাম। হটাৎ-ই সেই কর্কশ গলার আওজটা আবার কানে এল। তেমন ...

একটি স্নিগ্ধ দুপুর

মা ঘের দুপুর, সকালের রোদের থেকেও বেশি মিষ্টি দুপুরের পড়ন্ত রোদ। কাজেই মধ্যাহ্নভোজন আত্মসাৎ করে বেরিয়ে পড়লাম রোদ্দুরে গা'ভেজাতে। কয়েকটুকরো রৌদ্রসেবন করে একাকীত্ব বোধ হতে থাকল, কবিতা লেখার মত কঠিন কাজে আর মন বসে না। সুতরাং কঠিন যা কিছু তার থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে সহজের দিকে পা বাড়ালাম। যেমন কুয়াশা-নীলাভ আকাশের নীচে সমতল গঙ্গা, ঝিরি ঝিরি বাতাসের শীতলতা, গাছের পাতাদের সড়সড় শব্দ, ছায়ার অভিমুখী কল্পনা, দিগন্তের আবছা চিত্রপট আরো কতকিছু। রৌদ্রে চিকচিক করা জলরাশি দেখে কিছুক্ষণ আগের স্নানাগারে ঘটে যাওয়া অদ্ভুত গানের কথা মনে পড়ে যায়, গায়ে জল ঢালার আগের মুহূর্তের কথা মনে পড়লে আর তাকানো যায় না সেই দিকে! দূরের গাছপালারা যেন কুয়াশা মেখেছে আর নিশ্চই বাতাসে মিশেছে নেশার কোনোএক উপকরণ!     বাড়ি ফেরার পথে হটাৎ আনমনা হয়ে পড়ি, দুপুরের ভাতঘুম অপেক্ষা প্রকৃতি দর্শনে আজ যে আকর্ষণ অনুভূত হল, সেই স্মৃতি নিয়ে বেশ কয়েকটা দিন কাটিয়ে দেওয়া অনেক বেশি সহজ।